শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

ভন্ডূল - পরীক্ষার অনুশীলন


পরীক্ষার অনুশীলন

            দেখতে দেখতে দ্বিতীয় সামায়িক পরীক্ষা এসে গেলো। প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ভন্ডুলের রেজাল্ট আশানুরূপ ভালো ছিল। কিন্তু ২য় সাময়িক পরীক্ষার সিলেবাসে দেখা গেলো অংকগুলো খুবই কঠিন।
            ভন্ডুলের খুব ভয় হচ্ছিল। এই বারের পরীক্ষায় কি হবে!
            সন্ধ্যায় পড়তে বসে একদিন আব্বুকে বলল ওর সমস্যার কথা। সব শুনে আব্বু বললেন ‘‘কোন সমস্যা নেই, পরীক্ষার আরো বিশ দিন বাকী, এর মধ্যে আমি তোমাকে তৈরী করে ফেলবো।’’
            ‘‘কিন্তু আব্বু আমার যে অংক বুঝতে কষ্ট হচ্ছে।’’
            ইসমাইল সাহেব বললেন ‘‘আমি বুঝিয়ে দিলে তোমার বুঝতে কষ্ট হবে না। আর একটা ব্যাপার সব সময় মনে রাখবে, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা জরুরী কিন্তু পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে পরীক্ষা শুরুর আগেরই টেনশন করবে না। টেনশন করলে পরীক্ষা আরো খারাপ হবে।’’
            ‘‘ঠিক আছে আব্বু’’, ভন্ডুল সায় দিল ।
            ‘‘এখন কয়দিন খেলাধুলা কম করবে। স্কুল থেকে ফিরেই খেলার মাঠে যাওয়ার দরকার নেই। হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে আমার কাছে অংক করতে বসবে। ঠিক আছে?
            ‘‘জ্বি, ঠিক আছে আব্বু।’’
            এর শুরু হল ভন্ডুলের পরীক্ষার জন্য অনুশীলন। আশ্চর্য ব্যাপার আব্বু যখন বাসায় অংক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ও অংকটা বুঝতে পারছে এবং তখন খুব সহজ মনে হচ্ছে। কিন্তু স্কুলের ক্লাসে অংক এত কঠিন লাগে কেন? অংক স্যারের ভয়ে ? নাকি স্যার বোঝাতে পারে না?
            আব্বু ওকে অংক বোঝানোর পাশাপাশি সকল নামতাগুলো আবার মুখস্ত করতে বললেন। নামতা মুখস্ত করার পর দেখা গেল ভন্ডুলের ভাগ পূরণের সুদাসল এসব অংক আর সমস্যা হল না। বীজ গণিতের সূত্র আব্বু এমন ভাবে বলে যেন এরচে সহজ কিছু হতেই পারে না। ভন্ডুলকে সূত্রগুলোর সাথে প্রশ্নের যোগাযোগটা বুঝিয়ে দিলেন আব্বু। সূত্রগুলো মুখস্ত করে ফেলল ভন্ডুল এবার দুদিনেই।
            পরীক্ষা আরম্ভ হওয়ার আগেই ওর অংকের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গেলো। মন থেকে চলে গেলো পরীক্ষার ভীতি। নিয়মিত পড়া ও কঠোর অনুশীলন সবকিছু সহজ করে দেয়।
            ২য় সাময়িক পরীক্ষায় ভন্ডুলের রেজাল্ট এসে গেলো ৩য় স্থানে!

মৎস শিকার

            পরীক্ষার শেষ হওয়ার পরদিন বিকালে সবাই যখন মাঠে খেলা শেষে গোল হয়ে বসেছে, বিদ্যুত বলল ‘‘চল্ কাল সাবই মিলে মাছ ধরতে যাই।’’
            ভন্ডুল কখনও মাছ ধরেনি। ও বলল ‘‘কিভাবে মাছ ধরবি? জাল দিয়ে, না বড়শি দিয়ে?’’
            বিদ্যুত বলল ‘‘বড়শি দিয়ে, তোর জন্য বড়শি আমি নিয়ে আসবো। আর সবাই বাসা থেকে বড়সি নিয়া আসবি। দশ টাকা করে নিয়ে আসবি, মাছের খাবার বানাতে হবে। শুটকি কিনবো।’’
            ট্রেনের ঘটনার পর থেকে কেউ আর ভন্ডুল বিদ্যুতের কথার বাইরে যায় না। সবাই ওদের যে কোনও কথাতেই রাজি।
            একে একে সাজু, টুটুল, মিন্টু, বাবলু, তিতু, সুভ্র, নিপু, রাসেল ও বিদ্যুত এসে মাঠের মধ্যে হাজির হল। সবার পড়নে হাফপেন্ট। টি সার্ট মাথায় ক্যাপ, কাধে ছিপ। ভন্ডুল ঘর থেকে রেরুতেই ওদের দশ জনের গ্রপ সম্পূর্ন হল।
            বাজার থেকে শুটকি মাছ আর পাওরুটি কিনে প্রথমে মাছের খাবার বানানো হল। এরপর সবাই হাটতে লাগলো মতির বিলের দিকে।
            মতির বিলে যাওয়ার রাস্তাটা ওদের মাঠের পেছনে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। সবাই মিলে লাইন ধরে হাটা দিল, একজনের পেছনে আরেকজন। যদিও জঙ্গলের ভেতরের রাস্তা কিন্তু মানুষের নিয়মিত যাতায়াত আছে। জঙ্গল পেরিয়ে রেললাইনের উল্ট দিকে মতির বিল।
            মতির বিলের সাইজ দেখলে মনের হয কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার “বাবুদের তালপুকুর। বিলের দুই পাড়ে বিশাল বিশাল গাছ। গাছের ছায়ায় বসে আরামে ছিপ্ ফেলে মাছ ধরা যায়। সবাই একটু দূরে দূরে বসে পড়ল যার যার ছিপ্ নিয়ে।
            ভন্ডুল প্রথমে বিদ্যুতের কাছ থেকে শিখে নিল ছিপে কিভাবে মাছের খাবাার দিতে হয়। তারপর পানিতে বড়শি ফেলে কি করে বুঝতে হবে ছিপ্ টান দেবার সময় হয়েছে কিনা।
            প্রথম প্রথম ভন্ডুলের ভুল হচ্ছিল। কয়েকবার চেষ্টা করতেই ও শিখে গেলো ছিপ্ ফেলে মাছ ধরতে , এরপর শুরু হয়ে গেলো নিরব প্রতিযোগিতা । কে কত মাছ ধরতে পারে। কার মাছ কত বড়।
            সাজুর মাছ ধরার দিকে এত আগ্রহ নেই। কিন্তু সবাই এসেছে তাই সেও এসেছে। ও ঘুরে ঘুরে সবার মাছের সাইজ ও সংখ্যা গুনছে। তুলনা মুলক বিচারে বিদ্যুত সবারচে এগিয়ে আছে। সবচেয়ে বড় মাছ ওর ভাগ্যেই জুটেছে। ওর ছিপে ছোট মাছ ধরা পরলে ও আবার তা পানিতে ফেলে দিত। দেখা দেখি সবাই ছোট মাছ ধরলে বড়সি থেকে খুলে পানিতে ফেলতে লাগল। যেন এক মজার খেলা !
            বেশীর ভাগ মাছই মাঝারি সাইজ-এর রুই, কাতলা ধরা পরল। দু একটা কৈ মাছও পেয়েছে ওরা। ছোটবড় মিলিয়ে মাছ ধরা পড়েছে ৪৩টা।  মাছ ধরা শেষে দেখা গেলো মিন্টুর মন খারাপ, ওর ছিপে একটাও মাছ ধরা পরেনি। বিদ্যুত ধরেছে ৮টা, বাকীগুলো সবাই মিলে ধরেছে। এরপর সবাই গায়ের জামা খুলে হাফপেন্ট পড়ে মতির বিলে ঝাপিয়ে পড়ল গোসল করতে।
            পানি বেশী গভীর বলে সাতরে ওরা বেশী দুর যেতে সাহস পেলো না। প্রায় আধঘন্টা পানিতে দাপাদাপি করল ওরা, কাপড় বদলে টাওয়েল দিয়ে গা মুছে নিল সবাই। এরপর গাছের ছায়ায় শুয়ে বিশ্রাম নিল কিছুক্ষণ।
            এবার বাড়ী যাওয়ার পালা।
            সবাই বাড়ীর পথে রওনা হল। তখন বাজে বেলা ২টা। একজনের পেছনে আরেকজন করে লাইন ধরে ওরা আবার জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ফিরছে। হঠাৎ ভন্ডুল বলল ‘‘এক মিনিট দাঁড়া।’’
            সবাই থমকে দাড়াল।
            ‘‘তোরা কেউ কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছিস!’’ ভন্ডুল জিজ্ঞেস করল।
            মিন্টু বলল ‘‘নিশ্চয়ই মেছো ভুত! অনেক সময় মাছ ধরতে গেলে মেছো ভুতে পাকড়াও করে।’’
            মিন্টুর সব সময় ভুতের ভয়!
            ওর কথা শুনে সবাই হেসে ফেলল। কিন্তু পরক্ষনেই থেমে গেলো আবার।
            এবার কান্নার আওয়াজটা সবাই শুনতে পেয়েছে। তাহলে কি মিন্টুর কথাই সত্যি। মেছো ভুত! কেউ কেউ ভয় পেয়ে গেলো।সবাই জঙ্গলের চারদিকে তাকাতে লাগলো। একজন আরেক জনের হাত ধরে রেখেছে ওরা। ভন্ডুল বলল ‘‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। স্পষ্ট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি আমি। চল্ সবাই মিলে দেখি ব্যাপার কি ?’’
            মিন্টু আবার বলল ‘‘আমি পারব না, বাবা, আমাকে ছেড়ে দে। আমি সিউর ওরা মেছোভুত !’’ বিদ্যুত বলল ‘‘ঠিক আছে ছেড়ে দিলাম তোকে। এবার একা একা বাড়ী চলে যা!’’
            ‘‘না। আমি এক যেতে পারবো না। ভয়েই মরে যাবো! তোরাও আমার সাথে আয়। ’’
            ‘‘আহ্ থাম তো’’ সাজু ধমক দিল মিন্টুকে, ‘‘ ঐ দেখ তোর মেছো ভুত।’’
শুনে মিন্টু চোখ বন্ধ করে ফেলল। আর সবাই সাজুর নির্দেশিত দিকে তাকিয়ে দেখলো দুটি ছোট্ট শিশু!
            সবাই খুব অবাক হয়ে গেলো ওদের দেখে। ভন্ডুল বাচ্চাগুলোর দিকে এগিয়ে গেল। খালি গায়ে হাফ পেন্ট পরে বাচ্চা দুটো কাঁদছে। ওদের সামনে গিয়ে হাটু গেড়ে বসল।
            ‘‘কি হয়েছে তোমাদের , কাঁদছো কেন, হারিয়ে গেছো নাকি? ’’ ভন্ডুল জানতে চাইল।
বাচ্চা দুটো কান্না থামিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। বড়টা মেয়ে, ছোটটা ছেলে। অন্যরা সবাই ওদের পাশে এসে দাড়ালো।
            ভন্ডুল ওদের কাঁধে হাত রেখে জানতে চাইল- ‘‘বল, কাদছো কেন?’’
শিশু দুটি একজন আরেক জনের দিকে তাকাচ্ছে। এত লোক দেখে ওরা ভয় পেয়েছে।
            ‘‘কাদছো কেন বল।’’
            ছোট্ট ছেলেটা হঠাৎ বলে ফেলল ‘‘ক্ষিদা লাগছে। ’’
            বলেই আবার কান্না শুরু করল। মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে রেখেছে।
            ‘‘তোমাদের বাসা কোথায়?’’ ভন্ডুল আবার জানতে চাইলো ‘‘তোমাদের বাবা মা কোথায়?’’
এবার মেয়েটা বলল ‘‘বাপ নাই , মায় ঘরে।’’
            ‘‘ঘর চিনো তো! ঘর কোথায় তোমাদের?’’
            বাচ্চা দুটি হাতের ইশারায় জঙ্গলের ভেতরের দিক দেখালো।
            সবাই খুব অবাক হয়ে গেলো !
            এই জঙ্গলের ভেতর কেউ থাকে নাকি !
            ভন্ডুল ওদের হাত ধরে বলল , ‘‘চলতো দেখি কোথায় তোমাদের ঘর !’’
            বাচ্চা দুটো হাটতে হাটতে ওদের জঙ্গলের আরো ভেতরের দিকে নিয়ে গেলো। এক জায়গায় গাছপালা কম, বেশ অনেকটা জায়গা ফাঁকা। সেখানে দেখা গেলো একটা ছাপড়া ঘর। একজন মহিলা ছাপড়া ঘরের সামনে বসে কাঁদছে !
            ভন্ডুলরা বাচ্চা দুটিকে সাথে নিয়ে মহিলার সামনে গিয়ে দাড়ালো, মহিলা তখনও কাঁদছে। ভন্ডুল জিজ্ঞেস করল, ‘‘আপনারা সবাই কাঁদছেন কেন?’’
            মহিলার কান্না আরোও বেড়ে গেলো। ভন্ডুলরা সবাই খুব হতবাক হয়ে গেছে। এ ধরণের পরিস্থিতিতে কি করতে হয় ওদের জানা নেই।
            একটু পর মহিলা কান্না থামিয়ে বলল‘‘ ফুলির বাপ আইজ তিন দিন হইল  নি-খবর! ’’
            কাঁদতে কাঁদতে মহিলা যা বলল তা থেকে বোঝা গেলো ওনার স্বামী তিন আগে যে ঘর থেকে বেরিয়েছে আর ফিরে আসেনি। দুদিন ধরে ঘরে কোন খাবার নেই। এরা সবাই একদম না খেয়ে আছে। এদিকে মহিলা বাচ্চাদের রেখে কোথাও সাহায্যের জন্য যেতেও পারছে না।
            সব কথা শুনে ভন্ডুলরা হতবিহবল হয়ে গেলো। ভন্ডুল বলল ‘‘খাবারের সমস্যা সমাধান করা দরকার আগে। আমাদের কাছে মাছ আছে আপনি এখনি ভেজে দেন।’’
            ওর কথা শুনে মহিলার মুখ করুন হাসিতে ভরে উঠল, ‘‘মাছ ভাজমু কি দিয়া? ঘরে এক ফোটা তেল মসলাও নাই।’’
            ‘‘ঠিক আছে, আপনি আর কাঁদবেন না। আমরা ব্যবস্থা করছি সব কিছু,’’ বলে ভন্ডুল সবাইকে ডেকে এক পাশে নিয়ে গেলো।
            ‘‘কার কাছে কত টাকা আছে দেখ তো’’ বলল ও। সবার পকেট হাতড়ে দেখা গেলো সর্বমোট দেড় শতটাকা আছে। ঠিক হল বিদ্যুত আর সাজু গিয়ে বাজার থেকে তেল মসলা ও চাল নিয়ে আসবে। বাকীরা এখানেই অপেক্ষা করবে। আধ ঘন্টা পর বিদ্যুত ও সাজু বাজার করে ফিরল। ইতিমধ্যে মহিলাকে সমস্ত মাছ দিয়ে দেয়া হয়েছে। মহিলা মাছ কেটে রেডী করে রেখেছে। বাজার দেখে মহিলা বলল ‘‘বাবারা, আপনারা সবাই ভদ্র ঘরের ছেলে। যদি কিছু মনে না করেন তাইলে আমি সবাইর লেইগা চাইরটা ডাল ভাত রান্না কইরা ফালাই। আপনারা এই খানেই দুপুরের ভাত খাইয়া লন।’’
            ছেলেরা সবাই একজন আরেকজনের দিকে তাকাতে লাগলো। কি করবে বুঝতে পারছে না। বিদ্যুত বলল, ‘‘আমরা এখন বাসায় গিয়ে খাবো। আপনি বাচ্চাদের নিয়ে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করেন। আমরা এখন যাই কাল এসে আপনাদের খবর নেব। ’’
            ‘‘না, বাবা, আপনেরা এত সাহায্য করলেন, আমি গরিব মানুষ, আপনাগোরে রাইন্দা খাওয়াইতে পারলে আমার ভালো লাগতো।’’
            এরপর আর কথা চলে না।
            সবাই মিলে ঠিক করল যার যর বাসায় গিয়ে দুপুরে এখানে খাওয়ার কথা ও মহিলার সমস্যার কথা বলে আবার এখানে চলে আসবে।
            একঘন্টা পর মৎস শিকারের ঘটনা বনভোজনে পরিণত হয়ে গেলো।
            সবাই আসার পর বাচ্চা দুটোর সাথে ওদের কিছু কথা হল। জানা গেল মেয়েটার নাম ফুলি আর ছেলেটার নাম বাবু। ফুলি বাবুর আব্বা রিকসা চালায়। কিন্তু উপার্জন ভাল হত না। প্রায়ই ওরা এক বেলা দুই বেলা না খেয়ে থাকতো। এই নিয়ে বাবা মার প্রায়ই ঝগড়া হত। যে দিন ওদের বাবা চলে গেছে তার আগের দিন রাতেও ঝগড়া হয়েছে। ফুলি বাবুর কথা শুনে ওরা আর বলার মত কোনও কথা খুজে পেল না। একটু পর ওদের খাওয়ার জন্য ডাকা হল।
            সবাই ছাপড়ার সামনের উঠানে বসে পড়ল। চারিদিকে গাছপালা, সবার মধ্যে বনভোজনের উত্তেজনা।
            খেতে বসে দেখা গেলে ফুলির মা চাল আর ডাল মিশিয়ে খিচুরী রান্না করেছে। আর মাছ ভাজা। সাথে শুধু মাত্র কাঁচা পেয়াজ ও মরিচ। ক্ষুদার জন্যেই হোক অথবা জঙ্গলের ভেতরের পরিবেশের জন্যেই হোক মহিলার রান্না ওদের কাছে খুবই মজার মনে হল।
            খাওয়ার পর ওরা যখন বিদায় নিচ্ছে মহিলা ভন্ডুলের হাতে একটা পলিথিনে বাকি বেঁচে যাওয়া মাছ ফেরৎ দিতে চাইল।
            ছেলেরা সবাই এক বাক্যে অস্বিকার করল তা। জোড় করে মহিলাকে মাছগুলো দিযে গেলো ওরা। ভন্ডুল বলল ‘‘আমরা কাল সকালে আবার আসবো। আপনাদের খোঁজ খবর নিতে, আজকে আমরা যাই।’’ ভন্ডুলরা যখন চলে যাচ্ছে ফুলি বাবু ও মা ওদের দিকে প্রসন্ন মুখে তাকিয়ে রইল।

আসছে , ফুটবল টুর্নামেন্ট!    


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন